খাট , বিছানা কিম্বা জামাকাপড় হঠাৎ করেই আগুনে পুড়ে যাচ্ছে : বাঁকুড়ার জয়পুরে চাঞ্চল‍্যকর ঘটনা

22nd August 2020 11:33 pm বাঁকুড়া
খাট , বিছানা কিম্বা জামাকাপড় হঠাৎ করেই আগুনে পুড়ে যাচ্ছে : বাঁকুড়ার জয়পুরে চাঞ্চল‍্যকর ঘটনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) :  সকাল, সন্ধ্যা হোক বা দুপুর। বাড়ির আসবাবপত্র থেকে খাট, বিছানা এমনকি পোশাক পরিচ্ছদেও হঠাৎ করে জ্বলে উঠছে আগুন। গত কয়েক দিন ধরে এই ঘটনায় যথেষ্ট বিচলতিত বাঁকুড়ার জয়পুর থানা এলাকার শ্যামসুন্দরপুর গ্রামের রায় পরিবার। 

  ঐ পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে খবর, গত চার পাঁচ দিন ধরে দিনের যেকোন সময়ে বাড়ির বিভিন্ন আসবাবপত্র, পোশাক পরিচ্ছদ থেকে খাদ্য দ্রব্য যেকোন জায়গাতেই হঠাৎ করেই কিছু বুঝে ওঠার আগেই আগুন জ্বলে উঠছে। ঐ আগুনের উৎস কি কেউই বুঝতে পারছেননা। ফলে বাধ্য হয়ে বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়েছে।

  ঐ পরিবারের সদস্য সঞ্জিত রায় বলেন, কি কারণে হঠাৎ হঠাৎ আগুন লাগার ঘটনা ঘটছে বুঝে উঠতে পারছিনা। বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটে এমন ঘটনা ঘটছে আন্দাজ করে বাড়ির সমস্ত বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। তারপরেও একই ঘটনা ঘটছে বলে তিনি দাবি করেন।গৃহকর্ত্রী রেখা রায় বলেন, ভীষণ আতঙ্কে আছি। রান্না খাওয়া বন্ধ। যেকোন মূল্য এই অবস্থা থেকে মুক্তি চান বলে তিনি জানান । প্রতিবেশী নির্মল রায়ের দাবী, ঐ বাড়িতে হঠাৎ করে আগুন লাগার ঘটনা তিনি নিজেও দেখেছেন। এমনকি থানায় বিষয়টি জানানোর পর বাড়িতে পুলিশ এলেও তাদের সামনেও ঐ ঘটনা ঘটেছে বলে তিনি দাবী করেন।

এবিষয়ে আমরা কথা বলেছিলাম ভারতীয় বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী সমিতির সদস্য সৌম্য সেনগুপ্তের সঙ্গে। তিনি বলেন, এই ঘটনার কোন আলৌকিক যোগ নেই। সারা পৃথিবীতে যা ঘটে সব লৌকিক। আগুন লাগার ঘটনা 'মনুষ্যসৃষ্টি' দাবী করে তিনি বলেন, তাদের সংগঠনের সদস্যরা এ গ্রামে গেছেন। সেই তদন্তে আসল সত্যিটা উঠে আসবে বলে তিনি জানান।





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।